কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিকুল ইসলাম মামুন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা এলাকায় তাকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৬টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই উকিল আহমদ।
নিহত রফিকুল ইসলাম মামুন (৩০) কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মনজুর আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই উকিল আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, চারদিন আগে একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে তার ভাই কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে গুলি করেছেন। একই ব্যক্তিরা পাঁচ বছর আগে তার বাবাকেও হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রফিকুল মারা যান।
মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে নিহত রফিকুল জানিয়েছে, নিজের বন্ধুরাই সিএনজি (অটোরিক্সা) থেকে নামিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে গুলি করেছে।
বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ রাকিবুল হোছাইন সাংবাদিকদের বলেন, গুলিতে রফিকুল ইসলামের যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, নিহত রফিকুল মৃত্যুর আগে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তার ভাষ্য ছিল, তিন বন্ধুসহ একটি অটোরিকশায় রফিকুল এলাকায় ফিরছিলেন। পথে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গুলি করে ওই বন্ধুরা পালিয়ে গেছেন।
ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ আরও বলেন, রফিকুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা, ৪টি অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। তাকে কেন খুন করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।