এক সপ্তাহের মধ্যে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করা না হলে রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের মত আন্দোলন কর্মসূচী ডাকের হুশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে রংপুর মটর মালিক সমিতি কার্যালয়ে আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম বারী রাজ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, টেম্পোসহ সকল অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত এ সমস্ত যানবাহন মহাসড়কে চলাচল বন্ধের নির্দেশনা জারী করে। এ নির্দেশনার আলোকে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, টেম্পোসহ সকল অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে রংপুর বাইপাস হয়ে সৈয়দপুর বাইপাস, দিনাজপুরের দশমাইল, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, বাংলাবান্ধা রুটে, রংপুর হয়ে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি, কুড়িগ্রাম রুটে, লালমনিরহাট বড়বাড়ি, লালমনিরহাট, বুড়িমারী রুটে এবং রংপুর হয়ে ডালিয়া, পাগলাপীর হয়ে ডিমলারুটটি উল্লেখ যোগ্য।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ যানবাহন অদক্ষ চালকরা মহাসড়কে চালানোয় প্রতিদিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সাথে ধীরগতির থ্রি-হুইলার চলাচল করায় দুর্ঘটনায় পড়াসহ নানা সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন বাস চালকরা। প্রায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বাস মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, বাস মালিকরা প্রতিদিন সরকারকে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি টোল দেয়। অথচ পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বাস চালকদের হয়রানি করে যাচ্ছে। অপরদিকে থ্রি-হুইলার অবৈধ যানবাহন হওয়ার-পরও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। তাদের চোখের সামনে কিভাবে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে তা সচেতন মহল প্রশ্ন তুলছে। রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট মটর মালিক সমিতির সমন্বয়ে একটি আন্দোলন কমিটি করা হয়েছে। এর সাথে বিভাগের অন্য ৫ জেলার সমর্থন রয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে মহাসড়ক থেকে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করা নাহলে আমরা পরিবহন ধর্মঘটসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আন্দোলন কমিটির সদস্য ও লালমনিরহাট মটর-মালিক সমিতির সদস্য রেজাউল করিম বসুনিয়া, কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক সমিতির সদস্য কফিল উদ্দিন আহম্মেদ খোকন, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি শরিফুল আলম হিরুসহ অন্যরা।