বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড.শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সকল প্রশাসনিক দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সকল দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় অভিযোগ করেন। সেইসাথে অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণ না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
আন্দোলনরত আরেক ববি শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তার আবেদন করেও তা পায়নি। মাসের পর মাস আবেদনের কপি দপ্তরে পড়ে থাকলেও স্বাক্ষর করেননি উপাচার্য। অবশেষে সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যু ঘটেছে জিমির।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলনের পর রবিবার (৪ মে) উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাংবাদিকদের সামনে ১ দফা উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুজয় শুভ। এ আন্দোলনে ববি সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের এক দফা দাবি সম্মানের সাথে মেনে না নিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।