বৃষ্টির পানি, ঝড়ো বাতাশ ঢুকে পড়ছে শ্রেণি কক্ষের ভেতরে। বাঁশের ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে দেয়াল। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বিদ্যালয় ভবন! এরকম ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে চলছে কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯১৫ সালে স্থাপিত। ৯০ সালে চার কক্ষের একটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহুল, মেহেদী, মিতু, আয়শা ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন, রশ্নী, সাজিব জানায়, তাদের বিদ্যালয় ভবন জুরে ফাটল ধরেছে। দেয়াল, পিলার, ছাদ, মেঝে সবখানেই ফাটল। ওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি শ্রেণীকক্ষে ঢুকে পড়ে। বই-খাতা ভিজে যায়। ভাঙা শ্রেণীকক্ষে পড়তে খুব ভয় লাগে। একটা নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আনন্দে-আনন্দে পড়ালেখা করতাম।
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন অভিভাবক বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
সহকারী শিক্ষক মো. রুবেল আহাম্মেদ বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা উচিত। আতঙ্কে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। ৩য় শ্রেণি কক্ষের দেয়াল শ্রেণি কক্ষের ভেতরের দিকে হেলে রয়েছে। ৪র্থ শ্রেণি কক্ষের দেয়াল বাহিরের দিকে হেলে গেছে। দেয়াল বাঁশের ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে। শ্রেণি কক্ষের বড় বড় ফাটল দিয়ে ভেতর থেকে বাইরে দেখা যাচ্ছে।
কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করা রয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। পিডিপি-৫ প্রকল্পের আওতায় আগামী বছর ভবন নির্মাণ করা হবে। কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকলে ইমারজেন্সি মেইনটেইন্যান্স থেকে নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।