গাজার উত্তরে বাস্তুচ্যুত পরিবারের আবাসস্থলে অবস্থিত জাতিসংঘের একটি স্কুলে বুধবার (৭ মে) ইসরায়েলি হামলায় ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় বাড়িঘর ও ভবনগুলো ধ্বংস অব্যাহত রেখেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গাজা শহরের উপকণ্ঠ তুফাহের কারামা স্কুল লক্ষ্য করে দুটি হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক নুর আবদুও রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গাজার মধ্যাঞ্চলে বুরেইজ ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুতদের আবাসস্থল আরেকটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছে।
দখলদার বাহিনীর ভয়াবহ তাণ্ডবের ফলে স্কুলের শ্রেণীকক্ষ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে স্কুল ক্যাম্পাসে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আলী আল-শাকরা বলেন, 'যা ঘটেছে তা ভূমিকম্প! ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শিশুদের আবাসস্থল একটি স্কুলে আঘাত করেছে। তারা শিশু!' তিনি বলেন, স্কুলটিতে ৩০০ পরিবার বাস করত।
তিনি বলছিলেন, 'এই যে ভবনটা; এটা মাটিতে মিশে গেছে। আমরা গ্যাস সিলিন্ডার, আটার ব্যাগ, কেজি ভাত, অথবা তুক্কিয়া (সামাজিক রান্নাঘর) থেকে কোনো পাওয়া খাবার খুঁজে পাচ্ছি না। স্রষ্টাকে ধন্যবাদ, আমাদের পরনের কাপড়গুলোই বাকি আছে!'