বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রক্টর কার্যালয়) রাফিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রংপুর নগরের গণেশপুরের এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় দুই শিক্ষকসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে মামলা করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এতে বাদী হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদ। ওই মামলায় আসামি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ সদস্য, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আছেন। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় ৮০-১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৪৩ নম্বর আসামি হিসেবে রাফিউল হাসানের নাম আছে। এ ছাড়া মামলার ৪৬ নম্বর আসামি সহকারী রেজিস্ট্রার (ডেসপাস শাখা) মোকতারুল ইসলামকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান। গত বছরের ১১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর হামলা করা হয়। ১৬ জুলাই পুলিশ ও বহিরাগত অজ্ঞাতপরিচয় ৮০-১০০ জন আসামি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, লাঠিসোঁটা, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। পুলিশও নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর নগরের তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কয়েকটি মামলা আছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গতকাল বাসায় থাকার তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।