গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র গরমে চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার জনজীবন। এ অবস্থায় তীব্র রোদ এড়িয়ে সতর্কভাবে চলাফেরার পাশাপাশি বেশি পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সবশেষ শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, সাধারণত বেশিরভাগ দিনে বেলা ১২টায় মাঝারি তাপপ্রবাহ দেখা দেয় না। এই সময়ে তাপমাত্রা বেশি হলেও তা থাকে তাপপ্রবাহের নিচে কিংবা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায়। আজ এর ব্যতিক্রম হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে বেশি। তারপর বৃষ্টি হতে পারে। পরে নিম্নচাপও দেখা দিতে পারে।
এদিকে তীব্র রোদ আর গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায়ে নেমেছে ছন্দপতন। নিম্নআয়ের মানুষ রোদে ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই।
শুক্রবার সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে হাঁপিয়ে ওঠছেন। অনেককে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। রোদ-গরমের মধ্যেই অনেক দিনমজুরকে জরুরি কাজ করতে দেখা গেছে। ঘামে তাদের পুরো শরীর ভিজে গেছে।
দিনমজুর মো. মিলন বলেন, কদিন ধরে গরমে কাজ করতে পারছি না। তবু পেটের দায়ে কাজে বের হতে হচ্ছে। কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাই রোদের মধ্যে কাজে বের হয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, তীব্র গরমে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। বয়স্করা ঘরে থাকলেই নিরাপদে থাকবেন। খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তরল খাবার বেশি খেতে হবে।