আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, এখান থেকেই আমাদের দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্ব শুরু হবে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইন্টেরিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই। ইন্টেরিমের কর্ণকুহরে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই। ইন্টেরিমের কানে শহীদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় নাই। আমরা এখান থেকে এখন গিয়ে শাহবাগ অবরোধ করবো। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হবে আমরা জায়গা ছাড়বো না। আমরা এখন মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করবো এবং এখান থেকেই আমাদের দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্ব শুরু হবে।
১০০টা ফেরাউন একসঙ্গে করলেও একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে কোন কারণে রাজনৈতিক দল বলা হয়? আমরা শুনতে পাচ্ছি, প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তিনি নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আওয়ামী লীগ কোনোভাবে রাজনৈতিক দল নয় জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে এ দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষের কারণে ১৫ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছিল।
হাসনাত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এই ভূখণ্ডের মধ্য থেকেই নির্ধারিত হবে। বিদেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ধারিত হবে না। হাসিনা মূলক মোদির বেতনভুক্ত কর্মচারীর মতো দেশটাকে পরিচালনা করেছে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে একজন ব্যক্তি যদি থাকে এখানে, আরও যদি এক মাস প্রয়োজন হয়, এক বছরও প্রয়োজন হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা এই ময়দান ছাড়বো না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত সেই দিন থেকে শুরু হবে যেদিন বাংলাদেশ এই টাইটেলটা পাবে, বাংলাদেশ উইথাউট আওয়ামী লীগ। এই টাইটেলটা দেওয়ার জন্য মানুষের সমাগম করার জন্য আমরা এই জায়গাটা বেছে নিয়েছিলাম। এই জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্থা ব্লকেড করবো।
এর আগে, আজ দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নিতে দেখা যায়।