বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

৩০০ থেকে ৪০০টি তুর্কি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ২১:২০

ভারতের ৩৬টি শহরে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি তুর্কি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও পাঠানকোটসহ ৩৬টি শহরে এসব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহ বেস ক্যাম্প এবং গুজরাটের কচ্ছ এলাকায়ও পাকিস্তানি ড্রোন দেখা গেছে। দুটি ড্রোনের মধ্যে প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব রয়েছে, যা আক্রমণের বিস্তৃতি তুলে ধরে।

কর্নেল কুরেশি বলেন, পঞ্চাশটি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুলিতে ভূপাতিত হয়েছে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যাম করে আরও ২০টি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, বেশিরভাগ ড্রোনই নিরস্ত্র ছিল, যা ইঙ্গিত দেয়, পাকিস্তান হয়তো ভারতের প্রতিরক্ষা পরীক্ষা করেছে। তবে অনেক ড্রোনেই ক্যামেরা লাগানো ছিল, যা পাকিস্তানের গ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে ফুটেজ শেয়ার করতে পারে।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তান 'Asisguard Songar' ড্রোন ব্যবহার করেছে। প্রস্তুতকারকের মতে, এগুলো 'যে কোনো ধরণের দিন ও রাতে সামরিক এবং নিরাপত্তা অভিযানে কার্যকরভাবে' ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাল্লা ৫ কিলোমিটার।

ভারতের কর্নেল কুরেশি বলেন, শত শত ড্রোনের সবকটিই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাধা দিয়েছিল বা নিস্ক্রিয় করেছিল- যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন ছিল।

তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে অব্যাহত ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ এবং কামানের গোলাবর্ষণও চলেছে। সেখানে একজন সৈনিকসহ ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন।

কর্নেল সোফিয়া বলেন, প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের প্রতিপক্ষের ওপর 'ভারী ক্ষতি' করেছে, শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করে পাল্টা জবাবও দিয়েছে। বিধ্বস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করা হবে এবং এর ফলাফল ভারতের উপর সন্ত্রাসী হামলার সাথে পাকিস্তান বা তার সংযোগের প্রমাণের স্তূপে যুক্ত করা হবে।

ইত্তেফাক/এসকে