রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে বৈঠকে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ১৯:২১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দুই দেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা শনিবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনাভা শহরে বৈঠকে বসেছেন।

বৈঠকে চীনের পক্ষে অংশ নিয়েছেন চীনের বাণিজ্য দূত হি লাইফেং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। আলোচনার মূল বিষয় ছিল দুই দেশের মধ্যে আরোপিত উচ্চ শুল্ক এবং তার ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ।

যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ। দুই ঘন্টা ব্যাপী চলা বৈঠকটি সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করে সম্পন্ন হয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, চীন এই শুল্ক কমানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ৯০ দিনের ছাড়ের দাবি জানাতে পারে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন যে ১৪৫ শতাংশের পরিবর্তে ৮০ শতাংশ শুল্ক গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

তবে ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট স্পষ্টভাবে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে শুল্ক কমাবে না, চীনকেও ছাড় দিতে হবে।

ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক স্টিমসন সেন্টার এর চীন প্রোগ্রামের পরিচালক সান ইউন মনে করেন, যদি উভয় পক্ষ একসাথে শুল্ক কমাতে রাজি হয়, তবে এটি অত্যন্ত ভালো ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেন, শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই এই সংকট নিরসন সম্ভব।

চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অবিশ্বাস চরমে পৌছেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে অন্যায্য বাণিজ্যচর্চা ও ফেন্টানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক রপ্তানি বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে, চীন জানিয়েছে, তারা “সাম্রাজ্যবাদী চাপে” মাথা নত করবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে।

উল্লেখ্য, চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার সূচনা হয় এপ্রিল মাসে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর একতরফাভাবে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। চীনের ওপর নির্দিষ্টভাবে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে আলোচনার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এই শুল্ক এখন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ইত্তেফাক/টিএস