শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

মঠবাড়িয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন অর্থ সংকটে নির্মাণ কাজ স্থবির

আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ১৯:৪২

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্নের পর অর্থ সংকটে নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৩১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হাসপাতাল ও চিকিৎসা অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থ সংকটে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। 

এদিকে নতুন হাসপাতাল ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে পুরনো হাসপাতাল ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলায় উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় চরম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি  ২০২৩ ও ২০২৪  অর্থবছরে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ৩১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। দরপত্র আহ্বানের পর মেসার্স মাজেদা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স অনিক ট্রেডার্স নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের দায়িত্ব পেয়ে যৌথভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পে অর্থ সংকটের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩০ ভাগ কাজের পর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখে। প্রকল্পে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ১০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবন, কনসালটেন্ট ল্যাবরেটরি, লিফট, ইউএইচএফপিও কোয়াটার, স্টাফ ডরমেটরি, অক্সিজেন ভবন, দ্বিতল গ্যারেজ কোয়াটার, বিদ্যুত সাবস্টেশন,হাসপাতাল চত্বরে সড়ক ও নানা দৃষ্টিনন্দন কাজ অন্তর্ভূক্ত থাকার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নতুন হাসপাতালের মূল ভবনের তিনতলা কাজ সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন শাকিল দাবি করে বলেন, নির্মাণ কাজের ৫১ ভাগ কাজ সম্পন্নের পর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পে অর্থ সংকটের কথা জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শনা দিলে কাজ বন্ধ রাখতে হয়। 

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে অবকাঠামো নির্মাণ সংকটের কারনে চিকিৎসেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। কারন নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতার কারনে পুরানো অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে ডায়রিয়া রোগি ও নিয়মিত ভর্তিকৃত রোগি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া দুস্কর। হাসপাতালের বহু পুরাতন একটি অপরিসর কোয়াটারে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২জন চিকিৎসক পদ থাকলেও মাত্র ৬জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। ফলে ২৫জন চিকিৎসকের পদ খালি। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের এ উপজেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী অন্ত পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

ইত্তেফাক/এএইচপি