সাতক্ষীরায় বাবার কাছ থেকে মোবাইল কেনার টাকা এনে দিতে না পারায় আয়েশা খাতুন (২০) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাত সোয়া ২টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের আড়ংগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাফিজুর রহমান (২৫) এবং তার বড় ভাই হাবিবুর রহমানকে (৩২) পুলিশ আটক করেছে।
আয়েশা খাতুন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের আক্তার মল্লিকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলারর আড়ংগাছা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আজমির হোসেন নামে ১৪ মাস বয়সের একটি ছেলে রয়েছে।
আয়েশার মা আমেনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মেয়েকে মোবাইল কেনার জন্য বাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে দিতে বলেন হাফিজুর। আমার মেয়ে ফোন করে টাকার কথা বললে আমি বলি যে টাকা দিতে পারব না। জামাই তখন আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আর খুনের হুমকি দেয়। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে জামাই আমাকে ফোনে জানায় যে আয়েশা ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তাদের বাসায় গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহ বিছানায় রাখা।
এদিকে পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং হাফিজুর ও তার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কালিগঞ্জ থানার এসআই রাজিব সরদার জানান, এ ঘটনায় হাফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন আমেনা খাতুন। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।