তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে সিরিজের প্রথম চার দিনের ম্যাচে সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেনি নুরুল হাসান সোহানের দল। নাটকীয়ভাবে ম্যাচের শেষ তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৭০ রানে হেরে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একসময়ে ম্যাচ ড্র’র পথে এগোচ্ছিল। কিন্তু দিনের শেষ দিকে হঠাৎই সব ওলটপালট হয়ে যায়। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন একপ্রান্তে অবিচল থাকলেও তার সঙ্গী হাসান মুরাদ আউট হয়ে গেলে শুরু হয় ধস। বৃষ্টি না হওয়ায় ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনাও হারিয়ে যায়।
মুরাদ ফিরে গেলে ইনজুরি নিয়েও ব্যাটিংয়ে নামেন এনামুল হক বিজয়। তবে তার সাহসী সিদ্ধান্তও কাজে আসেনি। মাত্র দুই বল খেলে ফিরে যান তিনি। এরপরের বলেই বিদায় নেন এবাদত হোসেন। আর খালেদ আহমেদ আউট হতেই ম্যাচ শেষ—হেরে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে আলো, দ্বিতীয় ইনিংসে ছায়া
এর আগে প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ২৫৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ ‘এ’। খালেদ আহমেদ একাই নেন ৬ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ৮৮ বলে ১০৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু দল পায় মাত্র ১২ রানের লিড।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নিক কেলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১২২ রান করেন। ওপেনার জো কার্টার করেন ৫৭ রান। তাদের ২৫৭ রানের ইনিংসে হাসান মুরাদ ৫ উইকেট ও নাঈম হাসান ৪ উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৬ রান। তবে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ৪৬ রানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর মাহিদুল ইসলাম লড়াই চালিয়ে গেলেও কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
নায়ক আদিত্য অশোক
নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেগ স্পিনার আদিত্য অশোক ছিলেন ম্যাচের গেম চেঞ্জার। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ উইকেট নিয়েই গুঁড়িয়ে দেন স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে জোশ ক্লার্কসন ৪ উইকেট ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক ৩ উইকেট নেন।
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকল—ম্যাচের শেষভাগে ধৈর্য হারালে কীভাবে জয়-সমতার সম্ভাবনা ভেস্তে যায়, তার বড় উদাহরণ হয়ে।