শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের কফিন মিছিল

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ১৯:২৯

শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবি করেছেন শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন তারা।

কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেন তারা।

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে রোববার (১৮ মে) বেলা আড়াইটার দিকে এ বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা শেয়ারবাজারের পতনের জন্য বিএসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে কমিশনের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। প্রায় ৩০ মিনিট বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ চলে। এ সময় একটি কফিন এনে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিলও বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে শেষ হয়। এ সময় ডিএসই ভবনের সামনে রাস্তায় বসে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তায় ২০ মিনিটের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল।

মিছিল শেষে বিকেল পৌনে চারটায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নামাঙ্কিত কফিন নিয়ে প্রতীকী গায়েবানা জানাজা আদায় করেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভকালে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার আজ বন্দী হয়েছে এক নব্য স্বৈরাচারের আয়নাঘরে। 

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যদি এই সরকার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।

ইকবাল হোসেন আরও বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে দাবি আদায়ে ৩৩ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে উপস্থিত হবেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ইত্তেফাক/এমএস