চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বিভিন্ন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন রোগীরা। কক্ষ সংকটের কারণে ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার কথা জানা যায়।
ডা. তাপস কান্তি মজুমদার জানান, কক্ষ সংকটের কারণে একই কক্ষে একাধিক ডাক্তারকে রোগীদের সেবা দিতে হয়। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিনিয়তই ৬০-৬৫ জনের অধিক রোগী থাকে। কিন্তু কক্ষ সংকটে বিকল্প পন্থায় অর্থাৎ ফ্লোরে বা বারান্দায় রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরও সংকট রয়েছে বহুদিন যাবত। পানির সংকট দূর হলেও বিদ্যুতের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ট্রমা সেন্টার সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. তাপস কান্তি মজুমদার বলেন, ৩-৪ বছর আগে ট্রমা সেন্টারের অবকাঠামোর উদ্বোধন হলেও সেখানে ডাক্তার, মেশিন, ফার্নিচারসহ আনুষঙ্গিক কিছুই নাই। নিজেস্ব অর্থায়নে একজন নাইট গার্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র।
২০২২ সালে ‘ডাক্তার আছে মেশিন নাই, মেশিন আছে ডাক্তার নাই’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে নিউজ হয়েছিল। তখন বিভিন্ন বিভাগে ডাক্তার ছিল- তৎসংশ্লিষ্ট মেশিন ছিলনা। অন্যদিকে মেশিন ছিল কিন্তু ঐ বিষয়ের ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ ছিলনা।
ডাক্তারের সংকট উত্তরণের জন্য বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সিট সংখ্যা বাড়িয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাক্তার তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
ডাক্তারের সংকট থাকার কারণে একজন ডাক্তারকে সকাল-সন্ধ্যায় ৭০-৮০ জন বা শতাধিক রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসা নিতে আসা জাকির হোসেন নামক এক ব্যক্তি।