নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
অন্যদিকে নোবেল আদালতকে জানান, মেয়েটি তার স্ত্রী। গত ২৮ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছে। ওই তরুণী বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে আদালতে বিয়ের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী।
এর আগে সকালে নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে তার জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্র পক্ষ। পরে শুনানি আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (১৯ মে) রাত ২টার দিকে ঢাকার ডেমরার শারুলিয়ার আমতলার স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডেমরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং নোবেলের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল ভুক্তভোগীর সাথে মোহাম্মদপুর গিয়ে দেখা করেন। এসময় ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে নিয়ে এসে ২-৩ সহযোগীর সহায়তায় তাকে বাসায় আটক রাখেন নোবেল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এসময় নোবেল ভিকটিমের মোবাইল ভেঙে ফেলেন। পরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর ও ধর্ষণ করেন। একই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে বাসায় আটক রাখেন নোবেল।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেল কর্তৃক ভুক্তভোগীকে মারধরের একটি ভাইরাল হয়। এই ভিডিও দেখে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগেও নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেবার প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।