শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সরকা‌রি বই চুরির মামলায় অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, ১২:২৬

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মাধ্যমিক স্তরের সরকারি পাঠ্যবই চুরির মামলায় উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শেরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে বই পাচারের নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযোগ রয়েছে।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

গ্রেপ্তার মোক্তার হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। 

ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ‘শেরপুর সদর থানায় দায়ের করা বই চুরির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসে আমাদের থানার পুলিশের সহযোগিতায় অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছেন। পরে তাকে শেরপু‌রে নি‌য়ে গে‌ছে।’

এর আগে চল‌তি বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে শেরপুর সদর উপজেলায় ট্রাকভর্তি বই জব্দ করে পুলিশ। সেখানে ২০২৫ সালে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের ৯ হাজার ৬৭০টি বই পাওয়া যায়। বইগুলো রৌমারী থেকে নিয়ে যাওয়া হয়ে‌ছিল বলে জানায় পুলিশ। প‌রে তদ‌ন্তে সত‌্যতা পায় পু‌লিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।

বই উদ্ধারের ঘটনায় শেরপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাকচালক সজল মিয়া এবং বই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকা মাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ জানুয়া‌রি রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৪ জানুয়ারি শেরপুর আদালতে হাজির করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বই পাচারে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জামাল উদ্দিন জানান, রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মুকতার হোসেনের নির্দেশে গোডাউন খুলে ট্রাকে বই তোলা হয়েছিল।

শেরপুর থানার পুলিশ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামাল উদ্দিন জবানবন্দিতে বই পাচারে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মুকতার হোসেন এবং মাইদুল ইসলাম রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত রেজা প্রিন্টিং প্রেসের ম্যানেজার পদে কর্মরত মনির নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। মনির ও মাইদুলের বাড়ি রৌমারীতে।

ইত্তেফাক/এনএন