বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সেই মহাসড়কের দেড় কিলোমিটারে একের পর এক দুর্ঘটনা, আহত ৫০

আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, ১৮:৩৮

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়কের রামু অংশে মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকায় পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে কোনো প্রাণাহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে পৃথক সময়ে রামুর জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া, গুচ্ছগ্রাম এবং রশিদনগরে এলাকায় পৃথক তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নারী, পুরুষ, শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠানো হলেও তাৎক্ষনিক পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, বৃষ্টির কারণে সড়কটি পিচ্ছিল ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরের পর সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এ সময় মহাসড়কের  রামুর জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া এলাকায় হানিফ-সৌদিয়া বাস, গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রশিদনগরে সৌদিয়া-মারসা পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পৃথক তিনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪০ থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়েই তিনটি স্পটেই হাইওয়ে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে স্থানীয়রা উদ্ধারে সহায়তা করেছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বারবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে দেখে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি ৬ লেইনে উন্নিত করা দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। এই দাবিতে প্রায় ৪০টি সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন রামু ও কক্সবাজারের বাসিন্দারাও। এই দাবিতে গত রোববার রামুর বাইপাস চত্বরে আয়োজিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি।

এর আগে গত ২ এপ্রিল যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

ইত্তেফাক/এপি