সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

১২ তলা থেকে পড়েও বেঁচে গেলেন চীনা নারী হুইফাং

আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ১৯:০০

স্বামীকে কাজে সহায়তা করতে ভবনের ১২ তলায় উঠেছিলেন চীনা নারী পেং হুইফাং। সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় হঠাৎ নিচে পড়ে যান। তবে বিস্ময়করভাবে বেঁচে গেলেন তিনি।

দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসি প্রদেশের লেপিংয়ের কারখানার পরিচ্ছন্নতাকর্মী পেং হুইফাং। গত ১৩ মে তার স্বামীর কাছ থেকে একটি ফোন পান। স্বামী জানালার ব্যবসা করেন। একজন গ্রাহকের জানালা লাগানোর কাজে স্বামীকে সাহায্য করার জন্য যেতে হবে। মূলত সেখানে গিয়েই তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।

এই দম্পতি আনুমানিক কয়েকশ কিলোগ্রাম ওজনের একটি জানালা মাটি থেকে ১২ তলায় তুলছিলেন ক্রেনে করে। ১২ তলার ব্যালকনি থেকে রিমোটের সাহায্যে সেটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন হুইফাং। এক পর্যায়ে জানালাটি একটি গাছের ডালে আটকে দ্রুত নিচে পড়ে যায়। এ সময় জানালার সঙ্গে টান খেয়ে হুইফাংও নিচে পড়ে যান।

পায়ে অপারেশন করা হয়েছে পেং হুইফাং-এর। ছবি: সংগৃহীত

হুইফাং ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে বলছিলেন, আমি শুধু ভাবতে পারছিলাম, আমি মারা যাচ্ছি, আমি চিরতরে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি...।

কিন্তু তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। কারণ, মাটিতে পড়ার আগে একটি ছাউনির ওপর পড়েন, ছাউনিটি ভেঙে যায়।

পেং কোনো ব্যথা অনুভব করেননি, কিন্তু মাটিতে শুয়ে নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। তবে তিনি স্বামীকে চিৎকার করে বলতে সক্ষম হয়েছিল: 'আমি এখনো মারা যাইনি, ১২০ নম্বরে ফোন করো!'

এরপর হুইফাংকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তার ডান পা, বাম পা এবং পিঠের নিচের অংশে পাতলা ফাটলসহ একাধিক আঘাত ধরা পড়ে। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে শরীরের উপরের অংশ অনেকটাই অক্ষত ছিল।

মাটিতে পড়ার আগে একটি ছাউনির ওপর পড়েন পেং হুইফাং, ছাউনিটি ভেঙে যায়। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বর্তমানে আরও অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় আছেন। ডাক্তাররা তার আরোগ্যের বিষয়ে আশাবাদী। তিনি প্রায় ছয় মাসের মধ্যে আবার স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

হুইফাং এই ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমাদের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থতার কারণে পড়ে যাই। এর সাথে ক্লায়েন্টের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আসলে, তাদের (ক্লায়েন্টের) অসুবিধা করার জন্য আমরা বেশ বিব্রত বোধ করেছি।

এখন পর্যন্ত পরিবারটি চিকিৎসা খরচের জন্য ৭০,০০০ ইউয়ান (১০,০০০ মার্কিন ডলার) এরও বেশি খরচ করেছে। হুইফাং বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অব্যাহত চিকিৎসার খরচ। পরিবার তার আরোগ্যের তহবিল সংগ্রহের জন্য সহায়তা চাইছে।

তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

ইত্তেফাক/এসকে