বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

নদীর উপর সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক

আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ১৯:২০

পঞ্চগড়ের দুই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর ওপর সেতু আছে, তবে সড়ক নেই। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কাজে আসছে না। পঞ্চগড় জেলার দুই উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয় সেতু। তবে সেতু নির্মাণ হলেও, তৈরি হয়নি দুইপাশের সংযোগ সড়ক। এতে সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বোদা উপজেলার ধরধরা ও আটোয়ারী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মানুষ। 

জানা যায়, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলার টাঙ্গন নদীর ওপর দুই উপজেলার সংযোগ সেতু নির্মাণ করতে ২০২১ সালে আগস্ট মাসে কাজ শুরু হয়। মাঝে একবার মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছর কাজ শেষ হয় সেতুটির। ৯৬ মিটার এ সেতুটি নির্মাণের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেতুটির সঙ্গে সংযোগ রাস্তা বরাদ্দ থাকলেও ৩ বছরেও জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই মোটা অংকের সরকারি টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ হলেও এর কোনো কাজেই আসছে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেন্ডারের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এনএইচ। এ বছরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে তারা। কিন্তু এর একপাশে ছোট একটি জমির আইল ও ঘরবাড়ি থাকলেও অপর পাশে কৃষিজমিতে ভূট্টাক্ষেত থাকায় সেতুর সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

এবার বর্ষাতেও সেতুটি কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটির উভয় পাশে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি তাদের। 

স্থানীয় আইয়ুব আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে দুর্ভোগের বিষয়, উভয় পাশে রাস্তা নেই। একপাশে ছোট একটি রাস্তার আইল ও বাড়ি থাকলেও অপর পাশে ভুট্টাক্ষেত। 

একই কথা জানান আমির হোসেন। তিনি বলেন, রাস্তার পরিকল্পনা না করেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি তৈরি হওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে। কিন্তু রাস্তার অভাবে দুর্ভোগ রয়ে গেল।  

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ জামান বলেন, উভয় পাশের হাজারো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। বর্তমানে সড়ক নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। ভূমি অধিগ্রহণ সমাপ্ত হলে সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এএইচপি