মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গলাচিপায় রামনাবাদ নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ১৯:৪৬

রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবিতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে গলাচিপা ফেরিঘাট সড়কে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে মানববন্ধনটির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রামনাবাদ নদীতে একটি সেতু নির্মাণ গলাচিপা তথা পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের প্রাণের দাবি। সেতুটি বাস্তবায়িত হলে গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী, বাউফলসহ আশপাশের অন্তত ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের একনেক সভায় সেতু প্রকল্পটির অনুমোদন পেলেও এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। প্রকল্প অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরুর কথা থাকলেও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। অথচ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর।

বক্তারা আরও বলেন, বর্ষাকালে জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এম্বুলেন্স ফেরিঘাটে আটকে থাকায় অনেক সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে। ফেরিঘাটেই গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের মতো ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা নৌকা ও জরাজীর্ণ ফেরি, যা বর্ষাকালে হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী। প্রতিদিন হাজারো মানুষ অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন, যার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, প্রস্তাবিত সেতুটি হবে ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতু। প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৫২১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। সেতুটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষের পথে এলেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে তারা শুধুই আশ্বাস শুনে যাচ্ছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় তারা এখনো চরম দুর্ভোগে পড়েই নদী পার হচ্ছেন। অবিলম্বে সেতু নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ইত্তেফাক/আইএ