৪২ বছরের পুরনো নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ইতিহাসে এবার প্রথম বারের মতো এখানে বসছে পশুর হাট। এতে খুব খুশি হয়েছেন উপজেলার ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।
গত ২৮ মে এ হাট বসেছে খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের নূরপূর-বোয়ালি জিয়াখড়া বাজারে এবং আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বসেছে খালিয়াজুরী সদরে থানা সংলগ্ন মাঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই খালিয়াজুরীটিতে যুগ যুগ ধরে চাহিদা থাকলেও উদ্যোগের অভাবে ইতিপূর্বে এখানে বসেনি কোন পশুর হাট। কিন্তু এখন থেকে প্রত্যেক সপ্তাহের বুধবারে এ উপজেলার নূরপূর-বোয়ালি জিয়াখড়া বাজারে, বৃহস্পতিবার খালিয়াজুরী সদরে থানা সংলগ্ন মাঠে এবং মঙ্গলবারে কৃষ্ণপুর বাজারে এ হাট বসবে। তবে পশুর হাটের এ স্থানগুলো অস্থায়ী। পরবর্তীতে স্থায়ী স্থান নির্ধারণ করে এসব হাট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিটরা। তারা আরও জানান, এসব পশুর হাট নিয়মিত বসলে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থের। কমবে পরিশ্রম এবং ঝমেলাও।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, সম্প্রতি স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন এখানে আপতত ওই তিনটি হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। এসব পশুর হাটের ইজারা মূল্য একেবারেই কম।
খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কেষ্টু জানান, খালিয়াজুরী সদরে নির্ধারিত পশুর হাটটি নেয়া হয়েছে খালিয়াজুরী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামের নামে। এ হাট উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। হাটটি জমাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কারো কাছ থেকে এখন কোন খাজনা নেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নূরপূর-বোয়ালি জিয়াখড়া বাজার পশুর হাটের অন্যতম এক পরিচালনাকারী খালিয়াজুরী উন্নয়ন ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালম জানান, এখানকার হাটটি প্রথম বারই খুব ভাল জমেছে। এ হাটে গবাদিপশু উঠেছিল তিন শতাধিক। বেচা-কেনাও হয়েছে ভাল। আশা করা হচ্ছে পরবর্তী সময়ে এ হাট আরও অনেক বেশি জমবে। কারণ, হাওড় জনপদের এ উপজেলায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ পরিবারের প্রতিটিতে রয়েছে একাধিক গরু-ছাগল-মহিষ। এসব গবাদি পশু বেচা-কেনার জন্য এ হাট হবে খুবই উপযোগী।