বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক মেয়র আইভী কারাগারে

আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, ১৭:৫৬

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালতে আইভীকে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক সিটি মেয়রকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। গত মঙ্গলবার কারাগার থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গত রোববার বিকালে পুলিশ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নূর মোহসীন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট দেশের বাকি সিটি কর্পোরেশনগুলোর মতো নাসিক মেয়র আইভীকেও অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর মিনারুল হত্যা মামলায় আসামি করা হয় আইভীকে। সবশেষ ৯ মে সকালে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আইভী। জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা অন্তত ছয়টি মামলায় সাবেক এ সিটি মেয়রকে আসামি করা হয়েছে।

 মিনারুল হত্যা ছাড়া আরও দুটি মামলাতে আইভীকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এদিকে, মিনারুল হত্যা মামলাটিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেছেন আইভীর আইনজীবী। গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীমের আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন। পরে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২ জুন তারিখ ধার্য করেন।

ইত্তেফাক/এপি