বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা সাত দিন পর সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুটে আবারও ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (১ জুন) থেকে এই রুটে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৫ মে গভীর নিম্নচাপে সাগর উত্তাল থাকায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেন্টমার্টিন- টেকনাফ নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা যায়, গত কয়েকদিনে সাগরে নিম্ন চাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে সকল ধরনে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো থাকায় ফের সার্ভিস ট্রলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে গভীর নিম্নচাপের ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কয়েকটি গ্রামে জোয়ারের পানিতে সাগরের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে পানি ঢুকে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানি নেমে গেলেও দ্বীপে কিছুটা নিত্যপণ্যের ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
দ্বীপের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামে গভীর নিম্ন চাপের প্রভাবে সাগরের পানি ঢুকেছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও তখন ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়নি। তবে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেতো। এখনো তাদের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম বলেন, পর্যটক না আসায় দ্বীপের অধিকাংশ মানুষের এখন আয় রোজগার নেই বললেই চলে। অনেক যুবক বেকার। এর মধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনের সঙ্গে টেকনাফের যোগাযোগ বন্ধ হলে আরও খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ট্রলার বন্ধের কারণে গত এক সপ্তাহে বেশ খাদ্য সংকট তৈরি হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোটামুটি খাদ্য সহায়তায় দ্বীপের মানুষের কাছে পাঠানো হয়।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের সার্ভিস বোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, দুর্ঘটনা আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন গত ২৫ মে সেন্টমার্টিন- টেকনাফ নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। তবে এখন পরিস্থিতি ভালো থাকায় সার্ভিস ট্রলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ ৬টি সার্ভিস ট্রলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে গেছে। এবং নিত্যপণ্যের মালামাল নিয়ে দু'টি ট্রলার দ্বীপে রওনা করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ট্রলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় চালসহ নিত্যপণ্য খাদ্য পাঠানো হয়েছে এবং অবস্থা বুঝে আরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।