কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার চারটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ২জুন দুপুর ২টায় বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীর পানি ১৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার কিছুটা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে অনেক স্থানে গ্রামীণ সড়ক সড় বড় সড়ক গুলো। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে আজও সোমবার ভোর থেকে জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
মৌলভীবাজার শহর প্রতিরক্ষা আড়াই কিলোমিটার ফ্লাড ওয়াল এর উচ্চতা বাড়িয়ে নির্মাণ হয়েছে মাত্র ৬০০ মিটার। ফ্লাড ওয়াল কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় শহরে ব্যবসায়ী ও বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী, মো. খালেদ বিন অলীদ জানান, মৌলভীবাজারে গত তিন দিনে ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উজানে ভারত অংশে বৃষ্টি না হলে পানি রাতের দিকে কমতে শুরু করবে। তাৎক্ষনিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যবস্থার জন্য প্রায় ২ হাজার বালুর বস্তা ভরাটের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন জানান, বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলার ৭ উপজেলায় ১১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলায় ৩ লক্ষ টাকা করে ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।