শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

নির্বাচনে ‘বড়-ছোট সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ চাইলেন সারজিস

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৫, ০২:৩৫

প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষ হলে এপ্রিলে নির্বাচনে আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। 

সারজিস লিখেছেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ এবং মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান বিচার ও প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচনে কোনো আপত্তি থাকবে না।’ 

এনসিপির এ নেতা আরও লিখেছেন, ‘তবে এক যুগের অবৈধ নির্বাচন ও জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ২০২৬ সালে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার, কালো টাকার ছড়াছড়ি, কিংবা পেশি শক্তির প্রদর্শন মুখ্য হয়ে ওঠার বিন্দুমাত্র সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

সারজিস লিখেছেন, ‘একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং বিচারবিভাগ যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার মত দক্ষ ও যোগ্য, দৃশ্যমান কাজের মাধ্যমে সেই আস্থা অর্জন করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্ষমতার দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেদিকে সুস্পষ্ট অবস্থান থাকতে হবে। বড় ছোট সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে।’

 

সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বক্তব্যে তিনি ঘোষণা করেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেন, নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন তাতে জাতির আশা পূরণ হয়নি। 

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘‘নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ৫০ এরও অধিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। সরকার চাইলে সর্বোচ্চ জানুয়ারি মধ্যে নির্বাচন দিতে পারত, তবে যেটা করা হয়নি।’

ইত্তেফাক/এএম