নাগেশ্বরীতে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন আকাশ। প্রচণ্ড গরম। দাবদাহে কাটছে দিন-রাত্রি। সর্বদা বইছে গরম হাওয়া। ওষ্ঠাগত মানুষসহ প্রাণীকুলের জীবন।
গ্রীষ্মের দ্বিতীয় মাস জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে চলছে খরা। আষাঢ় এর খুব কাছাকাছি ৩০ জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত তা বর্তমান।
বর্ষ পরিক্রমায় রাতের চেয়ে এখন দিনের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। ভোরের অন্ধকার কেটে সকালে মেঘমুক্ত ঝকঝকে পূর্ব আকাশে উদিত হয় সূর্য। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর তেজ বাড়তে থাকে। প্রখর সূর্য তাপে উত্তপ্ত হয় মাটি, পানি, বাতাস। শহরে বৈদ্যুতিক পাখাও দিচ্ছে গরম হাওয়া। ফলে অনবরত ঘাম ঝরছে গা থেকে। রাতেও গরমে একই অবস্থা।
বিপদে পড়েছেন মাঠে কাজ করা কৃষক। রোদে বাইরে থাকা যায় না বেশিক্ষণ। আবার কাজ শেষ না করলেও সমস্যা। সেক্ষেত্রে কাজ রেখে বার বার বিশ্রাম নিতে হয়। তৃষ্ণা মেটাতে খেতে হচ্ছে পানি। এক্ষেত্রে তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারছে না। পাশাপাশি তারা আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায়। অতিরিক্ত গরমে কর্মজীবী মানুষের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে এতে। সম্প্রতি করোনার বিস্তারে এতে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. সঞ্জয় সাহা বলেন, এই গরমে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা। বেশিরভাগই আউটডোরে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। কেউ হাসপাতালে থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, চলমান দাবদাহে নিজেকে রক্ষায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর-বাড়ীর বাইরে বের না হওয়াই ভাল। থাকতে হবে ছায়াযুক্ত স্থানে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। বারবার হাত, মুখ ধুতে হবে। অনেকেই স্যালাইন খেয়ে থাকেন কিন্তু এক্ষেত্রে ডায়রিয়া না হলে তা খাওয়ার দরকার নেই। এ দাবদাহে রয়েছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি। রোদে কাজ করতে গিয়ে যদি কারো প্রচুর ঘাম ঝরে। অস্বস্তি লাগে। তাহলে দ্রুত তাকে ছায়াযুক্ত স্থানে যেতে হবে। যোগাযোগ করতে হবে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল সরকার জানান, শুক্রবার বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৪ জুন থেকে হালকা ও মাঝারী মানের বৃষ্টি হতে পারে।