সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে উপর দিয়ে টানানো বৈদ্যুতিক তারগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে হাওরগুলোতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। হাওরে নৌকা চলার পথ এখন অবারিত। তাই বৈদ্যুতিক তারগুলো যে কোন সময় বিশেষ করে স্টিলের নির্মিত জলযান স্পর্শ করলেই হতে পারে বিপদ।
এদিকে গত বুধবার তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরগামী তিনতলা বিশিষ্ট হাউস বোটের ধাক্কায় নদীতে থাকা পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পাঁচ গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনে পাটলাই নদীর উপর থাকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে ছিলানী তাহিরপুর, জয়পুর, গোলাবাড়ি, ইসলামপুর নতুন হাঁটি ও জয়পুর নতুন বাড়ি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাক্সগুয়ার হাওরে সচরাচর একতলা বিশিষ্ট হাউজবোট পর্যটক নিয়ে চলাচল করে। বুধবার বিকেলে নীল কমল নামে তিন তলা বিশিষ্ট একটি হাউসবোট অসচেতনভাবে চালানোর কারণে মেইন লাইনের বৈদ্যুতিক তারে আঘাত লেগে আগুন ফুলকি দিয়ে উঠে। একপর্যায়ে বিদ্যুতের দুটি তার ছিঁড়ে যায়। এতে পাঁচ গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে হাউসবোটের দুজন লোককে আটকে রাখে গ্রামবাসী।
নীল কমল হাউসবোটের ব্যবস্থাপক আল মামুন বলেন, আমাদের বোটটি হাওরে নতুন এবং এদিনই হাওরে নামানো হয়। বোটের জন্য এলাকায় এক অভিজ্ঞ সারং (সুকানি) নেওয়া হয়েছে। সে বিদ্যুতের লাইনে লাগিয়ে দিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের তাহিরপুর সাব জোনাল অফিসে সহকারী ম্যানেজার আলাউল হক সরকার বলেন, হাউসবোটের ধাক্কায় ১১ হাজার ভোল্টের তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামত করতে সময় লাগবে।