পঞ্চগড়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার হারিভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম রাজু (৩০)। তার বাড়ি হাড়িভাষা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেল পুলিশ। কার দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে রাজু সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাসায় আসলে রাজুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় তাকে দেখতে শতশত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করে।
হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈয়েদ নুরে আলম জানান, খবর পেয়ে রাজুর বাসায় এসে দেখি তার দুই পায়ে গুলি লেগেছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণত বিএসএফের গুলিতেই এরকম ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবিকে খবর দেওয়া হলে বিজিবি দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তবে বিএসএফর গুলির কারণেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। ঘাগড়া ঝুলিপাড়া এবং সাধু পাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতিপূর্বে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখানে তারকাটার বেড়া না থাকা এবং বিজিবির দূর্বলতাকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার এসআই মো. কাইয়ুম আলী জানান, রাজুর লাশ উদ্ধার করে সুরধাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তর শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ময়না তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, গত রাতে ওই সীমান্তে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারাও বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গুলির ঘটনা ঘটলে বিকট শব্দ হয়, অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দুটি দল সীমান্তে মোতায়েন ছিল তারা কোনো গুলির শব্দ শোনেনি। এছাড়া আমরা নিহত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি তারা বলেছে স্ট্রোক করে মারা গেছে। তার পায়ে ক্ষতচিহ্নের কথা বললেও সেটা কীসের ক্ষত তারা বলেনি।