মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ঈশ্বরদী বাইপাসে নেই যাত্রী ছাউনি, ভোগান্তিতে জনগণ

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ১৭:২৩

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বৃষ্টিতে এবং বর্ষা মৌসুমে ট্রেন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে এবং রোদে পুড়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয়। এছাড়াও প্লাটফর্ম নিচু এবং ট্রেনের পা-দানি উঁচু হওয়ার কারণে প্লাটফর্মের ওঠানামায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন দরে এ অবস্থা চললেও প্লাটফর্ম জুড়ে ছাউনি নির্মাণসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে শীঘ্রই ছাউনি নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রেলের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন চালু হয়। সালে। দ্বিতল ভবনের স্টেশনটির নিচে রয়েছে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও একটি ওয়াশরুম। দোতলায় রয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। রাজধানী ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় প্লাটফর্মের পরিধি বাড়ানো হলেও কোনো শেড নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে রোদ ও বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বৃষ্টির মধ্যে সরেজমিনে বাইপাস স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ আয়তনের এই প্লাটফর্মে ১২ থেকে ১৪ বগির আন্তঃনগর কোনো ট্রেন দাঁড়ালে প্লাটফর্ম পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু যাত্রী ছাউনি না থাকায় শুল্ক মৌসুমে প্রচণ্ড রোদের তাপ আর বর্ষায় বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয়। এছাড়াও ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্ম অনেক নিচে থাকায় কামরায় উঠতে ও নামাতে যাত্রীদের কষ্ট করতে হয়। মাঝেমধ্যেই পা পিছলে গিয়ে নিচে পড়ে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনে ওঠানামার কষ্ট ও ভোগান্তির কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা দ্রুত প্লাটফর্মে শেড নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

বৃষ্টির মধ্যে সিল্কসিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রীসেবা বাড়ানোর কথা বলা হলেও বৃষ্টিতে ভিজে, বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। এটা কেমন যাত্রীসেবা। কমল হাসান নামের ট্রেনযাত্রী বলেন, শুধু বৃষ্টিতে নয়; এ স্টেশনে এসে তীব্র গরমও সহ্য করতে হয়। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে জরুরীভাবে শেড নির্মাণ করা দরকার।

দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টারের সাথে কথা বলে জানা যায়, আন্তঃনগর সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস এবং ঢালারচর-রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের বাইপাস স্টেশনে স্টপেজ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড়গামী একতা ও ঢাকা-বুড়িমারীগামী বুড়িমারী এবং পঞ্চগড়-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনও থামে এই স্টেশনে। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে এসব ট্রেনে বিপুলসংখ্যক যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাতায়াত করে।

স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনে ওঠা ও রোদে কষ্ট পাওয়ার বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানান, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ট্রেনের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে প্লাটফর্মে শেড নির্মাণ জরুরি। তবে এটি সেতু প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন।

পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, স্টেশনে শেড নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা যাবে।

ইত্তেফাক/এএইচপি