সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জাকারিয়া আহমদ (২৫) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের পিনারসালা থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে গত সোমাবার জাকারিয়া বিয়ে হয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারতে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে মরদেহটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
নিহত জাকারিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের লামা গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জাকারিয়া দ্বিতীয়। জাকারিয়া একজন দিনমজুর। জাকারিয়ার আয়েই সংসার চলত। মৃত্যুর তিন দিন আগে তার বিয়ে হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের লামা গ্রাম ভারত সীমান্ত এলাকায়। লামা গ্রাম কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্র–সংলগ্ন। উৎমাছড়ার পূর্ব পাশে ভারত সীমান্তের ১২৫৭ খুঁটির পাশে একটি টিলায় গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল জাকারিয়ার মরদেহ। ঘটনাস্থলটি জাকারিয়াদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জাকারিয়া আহমদ পারিবারিক সমস্যার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি সেখানকার (ভারতীয়) পুলিশের। সেখানে বাংলাদেশের পুলিশ বা বিজিবি যেতে পারে না। ঘটনাস্থলটি ভারতের পিনারসালা থানার অন্তর্ভুক্ত। দূরত্বও বেশি। আবার সেখানে বৃষ্টি হওয়ায় পিনারসালা থানার পুলিশের ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয়। ভারতে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে বিএসএফের সহায়তায় শুক্রবার মরদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
এদিকে জাকারিয়ার বাবা আলাউদ্দিন জানান, গত সোমবার জাকারিয়ার বিয়ে হয়। পরিবারের কারও সঙ্গে তার সমস্যা ছিল না। বুধবার রাতে তারা সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে তার ছেলে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন বলে খবর পান।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের লামা গ্রামের পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে লাশটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তারা বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানান।
