যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতৃত্বে নতুন মুখ দেখতে চাইছেন সমর্থকরা। সাম্প্রতিক এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতৃত্বে নতুন মুখ দেখতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ৬২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট সম্মতি জানিয়েছেন। এর বিপরীতে কেবল ২৪ শতাংশ সমর্থক নেতৃত্বে রদবদলের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
রয়টার্স/ইপসোসের এই জরিপটি যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী চার হাজার ২৫৮ জন মানুষের ওপর ১১ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন চেয়েছেন কেবল ৩০ শতাংশ রিপাবলিকান।
উল্লেখ্য, মার্কিন রাজনীতিতে এখন ক্ষমতায় আছে আরেকটি প্রধান দল রিপাবলিকান পার্টি। দেশটির অন্যতম প্রধান ও প্রাচীন দুটি দলের সমর্থকরা নিজেদের ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, ডেমোক্র্যাট নেতাদের কথাবার্তা আর কাজের বাস্তবতা নিয়ে হতাশা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নাগরিকদের মূল দুশ্চিন্তা যেখানে দ্রব্যমূল্য, খরচ কমানো এবং ধনীদের করের আওতায় আনা, সেখানে নেতারা তুলনামূলকভাবে সামাজিক ইস্যু, বিশেষ করে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে বেশি সরব—যা ভোটারদের বড় অংশের কাছে অগ্রাধিকার নয়।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য পদপ্রার্থী গ্যাভিন নিওসোম বলেছেন, আমাদের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। তারা প্রাত্যহিক বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তবে, তাদের এই দুশ্চিন্তায় আমাদের মাথাব্যথা আছে বলে সাধারণ ভোটাররা আর বিশ্বাস করেন না।
গত নভেম্বরে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পর থেকে কিছুটা মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এ অবস্থায় আগামী বছর মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তাদের দল গোছাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে জনমত তাদের এতোটা বিরুদ্ধে চলে যাওয়াটা ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুশ্চিন্তারই কারণ বৈকি।