টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে শুক্রবার (২০ জুন) টরন্টোর বাংলা টাউনস্থ ‘মাল্টিকালচারাল ফিল্ম স্ক্রীনিং সেন্টার’-এ স্ক্যারবরো সাউথওয়েস্ট-এর এমপিপি ডলি বেগমের সঙ্গে জমজমাট ‘আড্ডা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আড্ডায় ডলি বেগমের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় ও এমপিপি হিসেবে তার অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ উঠে এসেছে।
অন্টারিও’র পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার এবং পাবলিক ট্রানজিটের ছায়া মন্ত্রী ডলি বেগম দুই ঘণ্টা আড্ডা দেন। অন্টারিও প্রভিন্সের রাজনীতি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথোপকথনে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহমেদ হোসেন, সঙ্গীত শিল্পী চৈতন্য নাজমুল, সাংস্কৃতিক কর্মী সেতু রহমান, লেখক ঈশাত আরা মেরুনা, কবি জান্না নাঈম, লেখক আতোয়ার রহমান, সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসরিন খান, কবি ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল প্রমুখ।
প্রথমেই অতিথিকে শুভেচ্ছা জানান টরন্টো ফিল্ম ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক।
আলোচনাকালে ডলি কমিউনিটির মানুষের জন্য সেবাকেন্দ্র, বাসস্থান, নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ক্রিয়েটিভ কাজ, স্বাস্থ্যসেবা, বয়স্ক ভাতা, স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বিশেষ সুবিধার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি স্কারবোরোর মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন বলে জানান। নতুন করে আসা অভিবাসী ও কমিউনিটির প্রতি আন্তরিকতাই ডলি বেগমের সাফল্য এনে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। নাগরিকদের সমস্যা, বাংলাদেশি কমিউনিটির সমস্যা সমাধানে তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ডলি বেগম প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান যিনি কানাডার পার্লামেন্ট পর্যায়ের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এনডিপি’র (নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি) সদস্য ডলি বেগম তার নির্বাচনী এলাকা থেকে পর পর তিনবার অন্টারিও প্রভিন্সের এমপিপি (মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট) নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমানে ডলি বেগম অন্টারিও’র পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার এবং পাবলিক ট্রানজিট এর ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি পার্লামেন্টের ফিন্যান্স ও অর্থনীতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির একজন ভাইস-চেয়ার।