ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নিহত যুবক ওয়াসিম আকরামের লাশ প্রায় তিন মাস পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ওয়াসিম আকরাম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তার ছেলে ওয়াসিমের বলে দাবি করেন। ওই সময় বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। লাশ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে আবেদন করেন রমজান আলী।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান জানান, এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার পতাকা বৈঠক হয়। পরে বিএসএফ লাশ শনাক্ত করে তা ফেরত দিতে সম্মতিপত্র পাঠায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ এবং নিহতের স্বজন, বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০-এর কাছে বিজিবি ও বিএসএফ এবং দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী ও বড় ভাই মেহেদী হাসান লাশ নেন।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি। লাশের সঙ্গে পাঠানো কাগজপত্রের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল। এতে ভারতীয় চিকিৎসকরা উল্লেখ করেছেন, পানিতে পড়ে ওয়াসিমের মৃত্যু হয়েছিল।
এলাকাবাসী যেদিন লাশ দেখতে পান, সেদিন তারা বলেছিলেন, ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে অন্যদের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে যান ওয়াসিম। সে সময় তার সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।