প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সাক্ষাত্কার দিয়ে বলেছিল যে, তারা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ইশারা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনি মোশতাক প্রথমেই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিল। তখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এমন মনোভাব ছিল যে তাদের কিছুই হবে না। এ থেকে স্পষ্ট যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক নেতারা যদি তত্কালীন পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারতেন, তাহলে হয়তো জাতির জীবনে ১৫ আগস্টের আঘাত আসত না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনের বিশাল কর্মযজ্ঞ একদিকে, অপরদিকে একটি দেশ, যে দেশটি ছিল পাকিস্তান নামের একটি দেশের একটা প্রদেশ। একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার কঠিন কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) করে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে তার রক্তের ঋণ শোধ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের মানুষের মুক্তি, স্বাধীনতা ও উন্নত জীবন দিতে বঙ্গবন্ধু আজীবন কষ্ট করে গেছেন। দেশের মানুষের জন্য নিজের বুকের রক্ত দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আজকের দিনে এই প্রতিজ্ঞাই আমরা করি যে, পিতা (বঙ্গবন্ধু) তোমাকে কথা দিলাম, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেষ কথা বলেছিলেন—প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেব। আর সেই রক্তই তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে তার স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা অনেকেই জাতির পিতার বাসভবনে যাতায়াত করত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখের বিষয়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা তো চেনা। দিন-রাত আমাদের বাড়িতেই যারা ঘোরাঘুরি করত, তারাই তো সেই খুনি রূপে এলো। তিনি বলেন, মাসে একবার করে হলেও মেজর জিয়া আমাদের বাসায় আসত। কখনো একা বা কখনো খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসত। কারণ খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসলে মায়ের (ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) সঙ্গে দেখা করার অছিলায় বাসার ওপরে আসতে পারত। তিনি বলেন, যারা বাসায় আসত, তাদের অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডটা চালাল। খুনি মোস্তাক তো মন্ত্রী ছিল। পরবর্তীকালে অনেক চেহারা আপনারা দেখেছেন, যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। অনেকে বড়ো বড়ো নীতির কথা এখন বক্তৃতায় শোনায়, তারা কী ছিল? তারা কি এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল না? তারা ভেবেছিল এইভাবেই বোধহয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে। তারা ক্ষমতায় টেকেনি। তিনি বলেন, খুনি মোস্তাক নিজেকে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করল।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমান কীভাবে খুনি মোশতাকের এত বিশ্বস্ত হলো যে তাকেই (জিয়া) সেনাপ্রধান করল? সেটা খুনি কর্নেল ফারুক-রশীদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছিল, সেই ইন্টারভিউ থেকেই সবাই জানতে পারেন। খুনিরা যে জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে এবং জিয়ার কাছ থেকে তারা ইশারা পেয়েছে এবং জিয়া যে তাদের আশ্বস্ত করেছে। এগুলো করলে পরে সমর্থন পাবে—সেটা তো আত্মস্বীকৃত খুনিরা নিজেরাই বলে গেছে। এরা কারা ছিল? এরা কি স্বাধীনতা চেয়েছিল? এরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করত? এরা কি যে নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল তাতে বিশ্বাস করত? তারা তা কখনোই করত না বলেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধান ও সামরিক আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। বন্দুকের নলের জোরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে দিয়ে সে ক্ষমতা দখল করে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জেনারেল জিয়া হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে। এরপর সে রাজনৈতিক দল গঠন করে। আর জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের শাসনামল ছিল অবৈধ। দেশের উচ্চ আদালত রায় দিয়ে তাদের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই তাদের (জিয়া ও এরশাদ) রাষ্ট্রপতি বলা যায় না, তারা হলো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করেই দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশকে উন্নত করতে এত সময় লাগত না। বঙ্গবন্ধু যদি আর মাত্র ছয়-সাতটি বছর দেশসেবার সুযোগ পেতেন, তবে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ হতো, দেশের মানুষকে দীর্ঘ ২১ বছরের হত্যা-ক্যু, ষড়যন্ত্র, হত্যা-নির্যাতনের মতো দুঃশাসন ভোগ করতে হতো না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সারা বিশ্বই বিস্ময় প্রকাশ করেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা দেশকে একটা সম্মানের জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি। প্রবৃদ্ধি অর্জনে পৃথিবীর হাতেগোনা যে কয়েকটি দেশ সাফল্য অর্জন করেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে আজ উল্লেখযোগ্য। মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। দেশের মানুষের আজ খাদ্যের কোনো অভাব নেই। এত অল্প সময়ে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন দেখে বিশ্বের বড়ো বড়ো দেশগুলোও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। নীতি ও আদর্শ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করলে দেশের যে উন্নয়ন করা যায়, আমরা তা প্রমাণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাত্র ১৫ দিন আগে ছোটো বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলাম স্বামীর কর্মস্থলে। এ কারণে আমরা দুই বোন বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাবা-মা, ভাইসহ সবাইকে হারিয়ে এই বেঁচে থাকার কষ্ট মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ। ছয়টি বছর দেশে ফিরতে পারিনি, অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে থাকতে হয়েছে। সবাইকে হারিয়ে রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে শুধু দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দেশে ফিরে এসেছিলাম। তাই আমার একটাই লক্ষ্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, তাদের উন্নত জীবন দেওয়া এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
এক রাতে পরিবারের সব হারানোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার গলা ভারী হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, সেই সময় নানা চক্রান্ত চলেছে—পাটের গুদামে আগুন, থানা লুট করা, আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাত জন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা। স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর বাহিনীর অনেকেই দেশ ছেড়ে ভেগে গিয়েছিল। অনেকেই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল। আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তারা একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে শুরু করে। ঐ সময়কার পরিস্থিতি তখনকার রাজনৈতিক নেতাদের উপলব্ধিতে আসেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তখনকার যে একটা অবস্থা সেই অবস্থা বুঝতেই পারেননি। একটা দেশ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল, শোষিত ছিল, তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা হয়েছে। যারা পরাজিত হয়েছে তারা এত সহজে ছাড়বে না। তাদের দোসররা ছিল রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আর তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত অব্যাহত থাকবে—এই উপলব্ধিটা তখনকার দিনে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতার মধ্যেও আসেনি। তাই তারা এটা হয় নাই, ওটা হয় নাই—নানা ধরনের প্রশ্ন, কথা, লেখালেখি অনেক কিছু শুরু করেছিল। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, সেই আলবদর, রাজাকার, আলশামস ও পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল-দোসর তাদের হাতেই চলে গেল দেশের ক্ষমতা। তাদের হাতে যে ক্ষমতা চলে গেছে, সেটাও বোধহয় অনেকে উপলব্ধি করতে পারেনি। শত ষড়যন্ত্র করেও যখন দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি, তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সদস্য আজমত উল্লাহ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনাকে জাতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আগের চেয়ে আমাদের এখন আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে যে অপশক্তি হত্যা করেছে, সেই শক্তি কিন্তু এখনো বসে নেই। তাদের ষড়যন্ত্রও থেমে নেই। কাজেই এখন আমাদের দলকে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। পঁচাত্তরের খুনি চক্র যাতে আবার কোনো ছোবল হানতে না পারে, আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলেন, তারা কীভাবে খুনিদের আশ্রয় দেন? মানবতার জন্যই তো আইন। এক্ষেত্রে আইনের দোহাই না দিয়ে আইন পরিবর্তন করে হলেও জাতির পিতার খুনিদের ফেরত দিন। গণতান্ত্রিক দেশগুলো এভাবে খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে, দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা তো সেখানেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জীবনই এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বারবার তার (প্রধানমন্ত্রীর) জীবনের ওপরই বেশি আঘাত আসছে। বারবার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবকিছু উপেক্ষা করে পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা অসীম সাহসে এগিয়ে চলেছেন। তিনি দেশকে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই হোক জাতীয় শোক দিবসের অনুপ্রেরণা।’