এবারে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সংগঠনগুলোর পক্ষে জানানো হয় জানালেন তারা এবারের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকবেন। পহেলা বৈশাখ আর রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠান এখন জাতির কাছে সমার্থক। ছায়ানট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগে থেকেই এবারের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা বললেন, আমাদের সকল আয়োজন মানুষের জন্য। যেখানে দেশে দেশে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। পৃথিবীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তখন মানুষের জমায়েত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের বিপক্ষে আমরা। সে কারণে এ বছর অনুষ্ঠান আয়োজন করা থেকে আমরা অনেক আগেই পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আমাদের মতের সঙ্গে মিলে গেছে।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠান না করলেও ছায়ানট এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষকে সহযোগিতার কাজ করছে। এই সময়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের চাইতে সেটাই বেশি জরুরি বলে আমরা মনে করি। লিসা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটালভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলেছেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান করতে গেলেও শিল্পীদের এক সঙ্গে হয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। প্রায় দেড়শ শিল্পীর জমায়েত করাও এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পারে না। তাই অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত আমাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না বলে জানালেন।
আরও পড়ুন: করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা দিতে আগ্রহী বেসরকারি হাসপাতাল
এছাড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে না সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও। সংগঠনটি প্রতি বছর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বিষয়ে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, অনুষ্ঠান জীবনের চেয়ে বড়ো না। মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে আমরা পহেলা বৈশাখের কোনো আয়োজন করব না।
ইত্তেফাক/ইউবি