বন্দুকযুদ্ধ- ক্রসফায়ার-গুম-এনকাউন্টার সহ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন মোড়ে সোমবার (৩ আগস্ট) বিকালে রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরুদ্দিন, সংবাদ সারাবেলার সম্পাদক সেলিম খান, রাষ্ট্রচিন্তা রাজশাহীর সংগঠক সাংবাদিক এম জে কাদেরী, রংপুর রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক রায়হান কবীর, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তি ফোরামের কর্মী-সংগঠকবৃন্দ, বাংলাদেশ যুবশক্তির নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রচিন্তা ঢাকার সদস্য, সংগঠকবৃন্দসহ সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে তারা অবিলম্বে বন্দুকযুদ্ধ- ক্রসফায়ার-গুম-খুন বন্ধের দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা আরো বলেন, আমাদের সবারই মনে আছে নিশ্চয়ই যে, মহাসমারোহে 'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' শুরু করা হয়েছিলো। মাদক 'নির্মূল' এর নামে বর্বরোচিত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রোপাগাণ্ডাও করা হয়েছিলো তখন। 'যুদ্ধের' পক্ষে সম্মতি আদায় করেছিলেন রাষ্ট্রের বড়সড় কর্তাব্যক্তিরা। সেই তথাকথিত যুদ্ধের পরিস্থিতি কোথায় এসে ঠেকেছে আর এর ফলে মাদক 'নির্মূল' কতটুকু হয়েছে তা আমাদের চোখের সামনেই। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে দুটো হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে, যদিও বেশিরভাগ মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে দুইটি ঘটনায়।
আরো পড়ুনঃ করোনায় বন্ধ থাকার ১৩৭ দিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স
প্রথম ঘটনা গত ৩০ জুলাইয়ের। মাদক 'লেনদেন' এর অজুহাতে সেদিন ক্রসফায়ারের নামে খুন করা হয় খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা কামালকে।
দ্বিতীয় ঘটনাটা ঈদের আগের রাতের। ওই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন মেজর নিহত হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ সেনাবাহিনীর টিশার্ট–ট্রাউজার পরিহিত ছিলেন।
যথারীতি দুইটা হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে তাদের কাছে মাদক ছিলো অথবা তারা মাদক ব্যবসায় জড়িত।
বক্তারা বলেন, আজকে আপনি আওয়ামী লীগ করলেও নিস্তার নাই। কিংবা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হলেও নিস্তার নেই। সময়-সুযোগ মতো দরকার পড়লে আপনাকেও গিলে ফেলা হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট এবং সাধারণ নাগরিকদের অবস্থা তো বলাই বাহুল্য।
ইত্তেফাক/এমএএম