শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন’

আপডেট : ০৫ জুন ২০২১, ০৭:৫৭

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক (গবেষণা) খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ইত্তেফাক অনলাইনের প্রতিবেদক কবির হোসেন।

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন: কেমন আছেন?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে অর্থনৈতিক খাত সচল রাখা যায়?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ কখনো বাড়বে আবার কখনো কমবে। এসবের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিকখাতকে সচল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য একটা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।  

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন:  এ সব  কর্মপরিকল্পনা কীভাবে করা উচিত বলে মনে করেন?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: সরকারের যে ক্যাশ প্রোগ্রামের চালু আছে সেটা বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়া।  সারাদেশে অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। সেগুলো এখন বন্ধ রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে সহায়তা করা বা তাদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। বিনোদন সেক্টর বন্ধ রয়েছে। তাদেরকে এই সহায়তার আওতায় আনা। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন: কোন কোন সেক্টরগুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: মধ্য মেয়াদের জন্য একটি ন্যাশনাল ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন।  যদি কোনো বেসরকারি সংস্থা ডাটাবেজ তৈরি করে থাকে তাহলে তাদের কাছ থেকে সেটি সরকার সংগ্রহ করতে পারে। সেই সেক্টরগুলো নির্ধারণ করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। আর মধ্য মেয়াদের জন্য সৃজনশীল খাত তৈরি করা। এটাতে মূলত বেসরকারি খাত কাজ করবে। তবে বেসরকারি খাত নতুন করে এখন বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত নয়। এ সব খাতে সরকার মধ্য মেয়াদি সহায়তা দিতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে শহর থেকে যারা গ্রামে যাচ্ছে অথবা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে যারা বেকার জীবন যাপন করছেন তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে হবে। এ অর্থনৈতিক সহায়তা শুধু ব্যাংক একা করবে না, বেসরকারি খাত, এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থাকে সম্পৃক্ত  করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক পণ্যে করারোপ হতাশাব্যঞ্জক

 

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন: দেশজুড়ে সরকারের যে সব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে সেগুলোতে কীভাবে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: দেশজুড়ে সরকারের যে সব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে- বাজেটে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।  একই সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে কর্মসংস্থানের টার্গেট সেট করতে হবে। এছাড়া সরকারের একটি উদ্যোগ আছে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এটিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এছাড়া চলমান প্রকল্পগুলোর জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা, যাতে নির্ধারিত ফান্ড শেষ হলেও থোক বরাদ্দ থেকে অর্থ নিয়ে তারা প্রকল্পগুলো চালু রাখতে পারে। 

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন: প্রস্তাবিত বাজেটে কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাওয়া জরুরি বলে মনে করেন?

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: অর্থ মন্ত্রণালয়কে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের জন্য একটি কর্ম পুস্তিকা তৈরি করতে হবে। আগামীতে কি ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সেগুলো নির্ধারণ করবে সব মন্ত্রণালয়। এ গুলো তদারকি করবে অর্থ মন্ত্রণালয় । 

দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন:  ব্যস্ততার মাঝে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: আপনাকেও ধন্যবাদ। 

 

ইত্তেফাক/ইউবি