শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যশোরের পুলিশ প্রহারে কিডনি নষ্ট

নেশাগ্রস্থ দাবি করায় যুবকের ডোপ টেস্টের নির্দেশ হাইকোর্টের 

আপডেট : ২৮ জুন ২০২০, ১৮:১০

যশোরের সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন (২৩) পূর্ব থেকে নেশাগ্রস্থ ছিল-পুলিশের এমন দাবির প্রেক্ষিতে তার ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই টেস্ট সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে যশোরের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ রবিবার (২৮ জুন) এ আদেশ দেন।

এর আগে হাইকোর্টে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান পূর্ব থেকে নেশাগ্রস্থ ছিল। মাঝেমধ্যে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকত। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের কোন প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ নাই। তবে মাদকসহ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চড়থাপ্পরসহ ধস্তাধস্তি হয়ে থাকতে পারে।
মাদক পাওয়ার পর জব্দ তালিকা তৈরি না করে অনৈতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে তাকে ছেড়ে দিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের প্রতি চরম অবহেলা দেখিয়েছে। যা অসদাচরণের শামিল। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।

আরো পড়ুনঃ মির্জাপুরে ট্রাক উল্টে ৩ জন নিহত

এছাড়া জেলার সিভিল সার্জনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইমরানের কিডনিতে সমস্যাসহ শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এখন তার অবস্থা উন্নতির দিকে। দুটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট ইমরানের ডোপ টেস্ট করার জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়।

পুলিশ কর্তৃক নির্মম প্রহারে ইমরানের দুটি কিডনি নষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই ঘটনায় পুলিশ ও সিভিল সার্জনের প্রতিবেদন তলব করে। এরপরই হাইকোর্টে প্রতিবেদন পাঠায় যশোর পুলিশ সুপার  ও সিভিল সার্জন।

গত ৮ জুন যশোরের সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার কর্তৃক নির্মম প্রহারের কারণে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।

ইত্তেফাক/এমএএম