বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জলকেলির মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটিতে বৈসাবি উৎসবের সমাপ্তি

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪৭

মারমা সম্প্রদায়ের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই পানি খেলা আযোজনের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পুরনো বর্ষ বিদায় ও নতুন বর্ষ বরণের বৈসাবি উৎসব শেষ হচ্ছে। নতুন বর্ষ বরণের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মারমা পাড়াতে বইছে জল উৎসবের জোয়ার। তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে বরণ করে নেন নতুন বছরকে। 

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আজ সোমবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই রাইখালী নারানগিরি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগ্রাই জল উৎসবের আয়োজন করে। ধর্মীয় ঘণ্টা বাঁজিয়ে উৎসবে পানি খেলার উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। পবিত্র পানির ধারা ধুয়ে মুছে দিবে পুরনো বছরের সব দুঃখ-গ্লানি। পাড়ায় পাড়ায় চলে মৈত্রী পানি বর্ষণের আয়োজন। 

একে অপরকে পানি ছিটিয়ে শুরু হয় পানি খেলা। মারমা তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে অংশ নেন পানি খেলায়। জল উৎসবের পাশাপাশি চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ এ উৎসবে যোগ দেন। তারা নেচে গেয়ে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। পাহাড়ে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে বৈসাবির জল উৎসবকে একটি শ্বাশত রূপ মনে করা হয়।

মারমা সম্প্রদায়ের উৎসবে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  এস এম শফি কামাল, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল্লাহসহ স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবগ যোগ দেন।

পুরাতন বছরের সব দুঃখ, গ্লানি, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ জল উৎসব সমবেত হয় পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এটি মারমাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান হওয়ায় পালন করা হয় জাকজমকভাবে। 

রাঙ্গামাটির ৬টি উপজেলাসহ বিভিন্ন দূরদূরান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছে এই পানি খেলায় অংশগ্রহণ করতে। তারা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ

মারমারা পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই জল উৎসব করে থাকেন। পুরাতন বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ জল উৎসবে সমবেত হয় পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর দিন ব্যাপী চলে এই আয়োজন। তবে মারমাদের পানি খেলা মধ্যে দিয়ে বৈসাবী উৎসব শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ থেকে যায় প্রায় পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে।

ইত্তেফাক/কেকে