শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চুক্তির ১৬ দিন আগেই কয়লা আমদানি বন্ধ

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৮

গত ডিসেম্বরে সিলেটের চারটি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ার ২৫ দিনের মাথায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি। লোকসানের মুখে আমদানিকারকরা, বেকার হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজার শ্রমিক।  

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) পরিতোষ ঘোষ জানান, স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির নেতারা জানান, ‘ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে প্রতিদিন সিলেট বিভাগের তামাবিল, বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশই পূরণ করে ভারত থেকে আসা কয়লা। প্রতি টন কয়লা আমদানিতে সরকার রাজস্ব পেতো প্রায় ১ হাজার ৬০০ টাকা। সে হিসেবে সরকার প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।’

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতি সূত্রে জানা যায়, মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার প্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সালে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। এরপর সেদেশের রপ্তানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়কদফা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উত্তোলিত কয়লা রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালত। এতে কয়লা আমদানির সুযোগ পেতেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় কয়লা আমদানি। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ভারতীয়  আদালত মেঘালয়ের বিভিন্ন খনিতে উত্তোলকৃত কয়লা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানির অনুমতি প্রদান করে। আদালতের অনুমতির পর বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এলসি করে ২২ ডিসেম্বর থেকে আমদানি শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে পড়ে। 

সূত্র জানায়, ভারতের উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন: সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ১১

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি চন্দন সাহা বলেন, ‘কয়লা আমদানি করতে না পারলেও এলসির সুদ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এখন কয়লা দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।’ 

চন্দন সাহা আরো জানান, ‘আগামী ১৯ ফেরুয়ারি ভারতের আদালতে এই নিষেধাজ্ঞার উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’

ইত্তেফাক/অনি