বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হাইকিংয়ে রেকর্ডের পথে মাসফিকুল

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২০, ০১:৪৬

হাইকিং-য়ে রেকর্ড গড়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের পথে মাসফিকুল হাসান টনি। হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে প্রথম সলো ক্রসকান্ট্রি ওয়েফারিং মিশন শুরু করেন তিনি। মাসফিকুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে সর্বশেষ জেলা হিসেবে কক্সবাজার জেলায় অবস্থান করছেন।

গত ৫ নভেম্বর প্রথম সলো ক্রস কান্ট্রি ওয়েফারিং মিশনে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মাসফিকুল। পদযাত্রা অভিযানটির প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘সংশোধনী আইনে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির বাস্তবায়ন এবং সেক্সুয়াল এডুকেশন।’

মাসফিকুল রবিবার (২১ নভেম্বর) ১৭তম দিনে শেষ জেলা হিসেবে কক্সবাজারে প্রবেশ করেন। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া ক্রসকান্টি হাইকিংয়ে এই পর্যন্ত এগারো জন হাইকার পুরো দেশ পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করেছেন। মাসফিকুল হাসান টনি ১২তম ব্যক্তি হিসেবে এই হাইকিংয়ে অংশ নিয়েছেন। একই সাথে সর্বনিম্ন ২০ দিনে ক্রসকান্ট্রি হাইকিং শেষ করার পথে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে হাইকার সাহাদাত হোসেন সর্বনিম্ন ২১ দিনে ক্রসকান্ট্রি হাইকিংয়ের রেকর্ড করেন।

আরো পড়ুন: যশোরে ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, রেল যোগাযোগ বন্ধ

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মাসফিকুল বলেন, প্রত্যেকটা ভ্রমনে প্রয়োজন হয় সঠিক পথ ও নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা। আমি কোথায় থাকবো এবং আমি কোথায় খাবো ইত্যাদি। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি এগুলা কিছুই করার সুযোগ পাইনি। বলতে গেলে আমি সরাসরি তেঁতুলিয়ায় গিয়ে পদযাত্রায় যুক্ত হয়েছিলাম। আমার এই পদযাত্রায় আমি ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি৷ অনেকের সাথে পরিচিত হচ্ছি৷ অনেকে আমাকে থাকার জন্য এবং খাবার খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছে। সব মিলিয়ে আমি এই পদযাত্রাটি অনেক উপভোগ করছি এবং অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আশা করছি, পূর্বের রেকর্ড পেরিয়ে নতুন রেকর্ড করবো। আমার ইচ্ছা আছে আরও দূর্গম পথ ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমণ করবো। একজন বিশ্বসেরা হাইকার হওয়া আমার উদ্দেশ্য। আমি উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

ইত্তেফাক/এএএম