শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মসজিদে মাইকিং করে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা, আহত ৩৫

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:০৯

ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে মাইকিং করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হন। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১০টায় এ সংঘর্ষ চলছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান ।

জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলায় জেরে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন আগে ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ঝামেলা হয়। ঐ ঝামেলা মিটমাট করার জন্য শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে আলোচনা করতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। আলোচনা চলাকালে আবার কথা কাটাকাটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে গেরুয়া বাজারের একটি ভবনে আটকে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁদেরকে মারধর করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মন্ডল, কার্যনির্বাহী সদস্য এলেক্সসহ তিনজন আহত হন। এ সময় শিক্ষার্থীদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরেও আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন স্থানীয়দের শান্ত রাখেন।

সংঘর্ষ চলাকালে রাত আটটার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ও সাভারের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের সংঘর্ষ চলছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

 

ইত্তেফাক/এনএ