মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বন্ধ ক্যাম্পাসে চলছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ২২:০৪

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ ক্যাম্পাসে নির্বিচারে চলছে বৃক্ষ নিধন কর্মসূচি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে জয় বাংলা চত্বর থেকে শুরু করে লিপুস ক্যান্টিন ও ছেলেদের হলের পাশে এবং ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে খেলার মাঠের পাশ দিয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গাছ ৪ থেকে ৫ বছর আগে রোপন করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে কড়ই, রেইনট্রি, শিশু ও কদমসহ বিভিন্ন গাছ। কিছু স্থানে বড় গাছগুলো কেটে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক লাইন রক্ষাসহ ঝড়ে জানমালের ক্ষতি হবার আশঙ্কা থেকে গাছগুলো কাটা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি বলেন, প্রচন্ড রোদে এ গাছগুলো আমাদের ছায়া দিতো এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশটাকে সতেজ রাখতো। প্রশাসনের উচিত ছিল গাছগুলো না কেটে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন ভয়েস নামে পরিবেশবাদী সংগঠনের সভাপতি আলী আহসান বলেন, এভাবে বৃক্ষ নিধন মেনে নেওয়া যায় না। এতগুলো গাছ না কেটে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা যেত। 

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে তার পছন্দমতো গাছ লাগানোর জন্য এসব গাছ কাটা হচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা পরিকল্পনাহীনভাবে লাগানো হয়েছিল। তাছাড়া গাছগুলোর মাত্র ৬ ইঞ্চি নিচে ৮ থেকে ১০ ফুট পুরো বালু রয়েছে। ফলে একটু ঝড়ো বাতাস হলেই এগুলো উপড়ে পড়ে জানমালের ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে।  
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ল্যান্ডস্কেপিং পরিকল্পনা করে বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগিয়েছি এবং সেগুলো যথাযথ পরিচর্যা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাস পূর্বের চেয়ে বেশি সতেজ এবং প্রাণবন্ত হবে। কিন্তুকিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ^বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়টি নিয়ে চক্রান্ত করছে।


ইত্তেফাক/এনএ