শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টি-টোয়েন্টিতেও আফগানদের কাছে বাংলাদেশের হার

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:১৬

চলতি সফরে আফগানিস্তানের কাছে টেস্টে হারের পর আশা ছিল টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। তা আর হলো না। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে ২৫ রানে হেরে গেল সাকিব বাহিনী। রবিবার সন্ধ্যায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে ১৬৪ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে এক বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ধসে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। এর রেশ কাটতে না কাটতেই মুশফিকও একই পথে হাঁটেন। তিনি ৩ বলে মাত্র ৫ রান করে বোল্ড হন। তারপর মুজিবুর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাকিব। তিনি ১৩ বলে ১৫ রান করেন। সৌম্য’র ইনিংস সীমাবদ্ধ থাকে আসা-যাওয়াতেই। শুন্য রান করেই এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। 

মাত্র ৩২ রানে চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির পঞ্চম উইকেটে দলের স্কোরকে ৯০ এ নিয়ে যান। এ সময় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি সাকিব বাহিনী। শেষ দিকে মুস্তাফিজ ৭ বলে ১৫ রান করে কিছুটা ঝড় তোলেন। এছাড়া সাব্বির করেন ২৪ রান। আফগান বোলারদের মধ্যে ১৫ রানে চার উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান।  

আরও পড়ুন : টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে রাব্বানীর ফোনালাপ ফাঁস

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত বল করেন সাইফুদ্দিন। তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত স্বল্প রানে বাঁধা যায়নি আফগানদের। মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয় আফগানরা। সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের পরপর আঘাতে শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। মাত্র ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ রানে চার উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবী। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন এই দুজন।

এরপর সাইফুদ্দিন জোড়া আঘাত হানলেও মোহাম্মদ নবীর ব্যাট হাসতেই থাকে। ৩৮ বল থেকে ৪০ রান করে আসগর বিদায় নেন আসগর। আর নবী শেষ পর্যন্ত নবী ৫৪ রান থেকে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কার মারে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ রান দিয়ে সাইফ চারটি ও ১৮ রান খরচায় সাকিব দুটি উইকেট নেন।
 
ইত্তেফাক/কেআই