যে সংযোগ সড়ক এক বছরেও হয়নি তা মাত্র এক রাতেই নির্মিত হয়ে চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে তা আমরা কল্পনাও করিনি। এ অভিব্যক্তি বায়রাউড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু চাঁনসহ গ্রামের মানুষের।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইত্তেফাকে ‘লন্ডনি খালের ওপর সেতু, সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়।
সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সেতু এলাকা পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রীর আসার সংবাদে এবং তার নির্দেশে সোমবার গভীররাত থেকে শুরু হয় সেতু এলাকায় মাটি ভরাট কার্যক্রম। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান দিনরাত সেখানে উপস্থিত থেকে তত্ত্বাবধান করে সেই সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমিসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। আমি আসার আগে এরই মধ্যে অনেকাংশ রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকি কাজটুকু অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে। আগামী বর্ষায় চলাচলে আর এলাকাবাসীকে কষ্ট করতে হবে না। আসলে মন থেকে কোনো পরিবর্তন চাইলে যে সেটা সম্ভব, তার প্রমাণ এ সংযোগ সড়কটি।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুরের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসীন, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব ডা. শামীম আহাম্মেদ প্রমুখ।
ইত্তেফাক/জেডএইচ