পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দখল করে বহু অবৈধ স্থাপনা করা হয়েছে। বাঁধের দুই পাশে জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ দোকানপাট.ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই দখল প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া বাঘাবাড়ি-নিমাইচড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশে গড়ে উঠেছে পাকা-আধাপাকা শত শত বাড়ি-ঘর,দোকানপাট,বাজার। এমনকি বাঁধের পাশের জলাশয় দখল করে মাছ চাষ করেছে এলাকার প্রভাবশালীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাউবো’র কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে চলছে এই দখল বাণিজ্য।
সরেজমিন, বাঁধের ভাঙ্গুড়ার রূপসী, নিমাইচড়া, বাঘলবাড়ি ও মান্নাননগর এলাকায় বাজার বসানো হয়েছে। এসকল স্থানে সাপ্তাহিক হাটও বসে। নিমাইচড়া বাজার ও বাঘলবাড়ি বাজার নামের দুইটি স্থানে পাউবোর বাঁধের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। রয়েছে অসংখ্য দোকান, মুরগীর খামার ও বাড়ি। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় দোকানীরা ইচ্ছেমতো বাঁধের পাশে মাটি ফেলে দোকান তৈরি করছেনন। অনেকেই বললেন, স্থানীয় কিছু নেতা বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে তারা এই জায়গা পেয়েছেন। বাঘলবাড়ি ও নিমাইচড়া বাজারের কমিটিও রয়েছে, তারাই এসকল দেখভাল করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড দখলকারীদের শুধু নোটিশ দিয়েই দায় সেরেছেন। দোকানী, বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বললেন, কেউ কিছু বলেনা, তাই তারা এই জায়গা দখল করে বসবাস করছেন ও ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ ৩০/৪০ বছর ধরেই এ জায়গা নিজেদের দখলে নিয়েছেন। তৈরি করেছেন পাকা স্থাপনাও।
এ বিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আমরা এগুলো দেখিনা। যুগ যুগ ধরেই এসকল বাজার বা বাড়ি-ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন সবাই। এগুলোর সকল দায়-দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. হামিদ মাস্টার বললেন, দখলে যারা সহায়তা করেছে বা করছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার। পাউবো’র কিছু কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি। এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক বলেন, দখলকারীদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু স্থাপনা উচ্ছেদও করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
ইত্তেফাক/এসি