বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গোবিন্দগঞ্জে বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে এসে পোশাক শ্রমিক গণ ধর্ষণের শিকার

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ২১:০১

নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক। গত শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাতে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে ধর্ষণের পর ধর্ষকরা তাকে উপজেলার বালুয়াবাজার এলাকায় ফেলে রেখে যায়। রাত ১টার দিকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে ওই কিশোরী বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন শনিবার (১৪ নভেম্বর) পুলিশ মূল অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ওই কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করেছে।

ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত সোহেল মিয়া (৪০) পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে। আদুরী বেগম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিঘিরহাট চকমানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। একই বাসায় থাকার কারণে আদুরীর সঙ্গে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। গত ২৭ অক্টোবর আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসেন। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করায় আদুরীর সম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা হয়। 

আরও পড়ুন: জুয়েল হত্যায় মুয়াজ্জিন আফিজ উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

গত শুক্রবার সকালে সোহেল ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীকে সোহেলসহ ৪-৫ জন ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। রাত ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার রাতে সোহেল ও আদুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

রবিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধারের পর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসি