দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্ত্রী প্রতিমা রাণী ও তার ভাইদের ছোঁড়া এসিডে ঝলসে যাওয়া ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার স্বামী বাসুদেব কর্মকার। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) নতুন করে এজাহার লেখা ও এসআই জিয়াউর রহমান জিয়া তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
ভিকটিম বাসুদেব চন্দ্র কর্মকার বলেন, মেয়ে বন্যা রানী বাদী হয়ে গত ২০ নভেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। থানা অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন এজাহারটি তদন্তে এসআই জিয়াউর রহমান জিয়াকে নির্দেশ দেন। পরে ঘোড়াঘাট হাসপাতালে এসে এসআই জিয়া জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
পরে মামলার খোঁজ খবর নিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করি। এ সময় এসআই জিয়া উপস্থিত ছিলেন। ওসি পুনরায় জবানবন্দি শোনেন। এক পর্যায়ে এসআই জিয়া আগের এজাহারের বদলে একটি নতুন কম্পোজ করা এজাহারে, সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং বলেন তাকে ছোঁড়া পদার্থ এসিড ছিল না। ছিল অন্যকিছু।
এ ব্যাপারে এসআই জিয়াউর রহমান জিয়ার বলেন, এজাহার নতুন করে করা হয়েছে। তবে কোনো পরিবর্তন বা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: মিঠাপুকুরে গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর বাসুদেব চন্দ্র কর্মকার ওরফে বাসীকে ঘোড়াঘাট পৌরসভার নয়াপাড়া গ্রামে স্ত্রী প্রতিমা রানী ফোন করে ডেকে আনেন। এ সময় ভিকটিম তার নিজ বাড়ী ধুনট উপজেলার কেচিবাড়ী গ্রামে তার নিজের বাড়ি বিক্রি করার টাকা নিয়ে অবস্থান করছিলেন। স্ত্রীর ফোন পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক টাকাসহ তার শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। এসময় স্ত্রী প্রতিমা রানী, শ্যালক প্রকাশ ও চাচা শ্বশুরের দুই ছেলে বিকাশ তাকে এসিড ছুঁড়ে তার কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। দগ্ধ বাসুদেব তাৎক্ষনিক বিষয়টি ঘোড়াঘাট থানায় অবগত করেন এবং ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে তার ভর্তি রেজিস্টার স্লিপে দেখা গেছে, এসিড নিক্ষেপ ও পুলিশ কেস। পরে তার ছাড়পত্রেও এসিড নিক্ষেপের বিষয়টি দেখা যায়। তবে পুলিশ কেন বিষয়টিকে এসিড না বলছেন তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসি