বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলা, পুরুষ শূন্য এলাকা

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৫

গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গত ৬ দিনেও নতুন করে আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে পুরুষদের ঘরে ফিরতে পুলিশের মাইকিং করার ৪দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এলাকায় গ্রেফতার আতঙ্ক কাটেনি। 

শুক্রবার গাইবান্ধা শহরের পূর্বকোমরনই এলাকা সরেজমিন ঘুরে কোনো পুরুষ মানুষ দেখা যায়নি। এলাকায় শুধু নারী, বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরা ছিলো। সাধারণত. শীতের সকালে চায়ের স্টল ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে যে আড্ডা হয়, শুক্রবার তা দেখা যায়নি। সম্ভাব্য গ্রেফতারের ভায়ে লোকজন এলাকা ছাড়া হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় সংঘর্ষ-ভাঙচুর

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বকোমরনই এলাকার এক নারী বলেন, বাড়িতে থাকার জন্য মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) পুলিশ মাইকিং করে। মাইকিং করার ৪ দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। তারপরও আতঙ্ক কাটছে না। পুরুষরা বাড়িতে আসছেন না। এখনো সবার মধ্যে আতঙ্ক। 

এলাকাবাসী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন। 

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরই গ্রেফতার করা হবে। কাউকে হয়রানি করা হবে না। 

আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের

তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক কাটাতে পুর্বকোমরনই এলাকায় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে মাইকিং ও গণসংযোগ করা হয়। মাইকে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। 

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কোমরনই কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতির সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার-উল সরোয়ার সাহিবের কর্মী-সমর্থকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়।

এসময় তারা পুলিশের রিকুইজিশন করা একটি লেগুনাতেও আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচ